রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

চট্টগ্রামের বাজারে আগুন

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

রমজান মাসে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে চলে নিত্যপণ্যে মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা। অথচ বাংলাদেশের চিত্র একেবারেই বিপরীত। চৈত্রের দাবদাহ উপেক্ষা করে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে ভিড় করছেন নগরবাসী। এই সুযোগে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।
রমজান এলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। রমজানে শুরুর আগেই বাজারে শসা ও লেবুর দাম বেড়ে গেছে। কয়েকদিন আগে যে শসা কেজি ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, শুক্রবার (১ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে তা বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যে লেবু আকারভেদে জোড়া ১৪-২০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, নগরের বিভিন্ন স্থানে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়।

মূলত ইফতারি তৈরির উপাদানের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, শাক-সবজি বাদে সব পণ্যেরই দাম বাড়তি। কথা হয় বাজারে আসা মো. মিনারের সঙ্গে। এই ক্রেতা মন্তব্য করেন, ‘আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেছে। আর এ অবস্থা অন্তত গত ১৫ দিন আগে থেকেই। গত কয়েক বছরের মতো এবারও রমজানের শুরুতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকবে। বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানাই’।

কাঁচাবাজারে দেখা যায়, বেগুন প্রতিকেজি ৬০-৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৪৫ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকায়, আগে যা ছিল ৪৫ টাকা। শসা ৭০ টাকা, পাকা টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, বরবটি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফুলকপি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়। এছাড়া লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডিমও গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে ১০টাকা কমে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই ও কাতাল মাছ কেজি ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং ও টাকি মাছের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

কাজীর দেউড়ি কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী রিমন বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ একদিনের ব্যবধানে শসার দাম ২০ টাকা বেড়ে গেছে। আড়তদাররা শসার গাড়ি রিয়াজউদ্দীন বাজারে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। যার কারণে শসার দাম বেড়েছে।

উস্তর আলী নামে এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচাবাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। গত সপ্তাহের তুলনায় এখনও এত বেশি বাড়েনি। শসা ও বেগুনের দাম বাড়তি।

এদিকে নগর বাসিন্দারা রোজাকেন্দ্রিক কেনাকাটা শুরু করেছেন। বিক্রি বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জিরা, দারচিনি, এলাচ, আদা, শুকনো মরিচের দামও বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা মসলার দাম বাড়ার তথ্য দিলেও ভিন্ন কথা বলছেন পাইকাররা। পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রোজাকেন্দ্রিক মসলার দাম বাড়েনি। জিরার দাম একমাস ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। এলাচের দাম বাড়ার বদলে কেজিতে ৯০ টাকা কমেছে। তবে দারচিনির দাম কেজিতে ৪-৮ টাকা বেড়েছে। তারা বলছেন, বাজারে প্রচুর পরিমাণে জিরা, দারচিনি, এলাচের সরবরাহ রয়েছে। এসব পণ্যের ঘাটতি হবে না। গত কয়েকদিনে কমেছে পেঁয়াজের দাম। খুচরায় পেঁয়াজের কেজি ৩০-৩৫ টাকা।

মসলার বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা ব্যবসায়ীরা দারচিনি কেজিতে বিক্রি করছেন ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়। দুই মাস আগে যে শুকনো মরিচ বিক্রি হয়েছিল ১৮০ টাকায় সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। মানভেদে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। হলুদ ২৫০-৩৫০ টাকায, এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬শ থেকে ৩ হাজার টাকা, ভারতের জিরা ৩৮০ টাকায, ইরানি জিরা ৪০০ টাকা, চীনা রসুন ১১০ ও আদা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। ভোজ্যতেল বোতলজাত কোম্পানিভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭৮ টাকায়। খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮৩ টাকায়। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১০০-১২০ টাকায়। বিভিন্ন জাতের খেজুর মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১১০০ টাকায়। একইভাবে বেড়েছে শরবতের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পানীয় এর দাম।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION